রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় গুরুতর আহত ও দগ্ধ ব্যক্তিদের চিকিৎসায় সহায়তা দিতে ভারত দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে।
ভারতের পক্ষ থেকে অভিজ্ঞ বার্ন চিকিৎসক, দক্ষ নার্স এবং আধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জাম পাঠানো হচ্ছে। বিবিসি বাংলার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ও ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে এই উদ্যোগ দ্রুত গ্রহণ করা হয়েছে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বিবিসিকে জানান, দুজন অভিজ্ঞ বার্ন চিকিৎসক ও একটি ছোট নার্সিং দল ২২ জুলাই, মঙ্গলবার ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
এ ছাড়া, প্রয়োজন হলে আরও চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ পাঠানো হবে বলেও তিনি জানান। সঙ্গে জরুরি চিকিৎসা সরঞ্জামও পাঠানো হচ্ছে, যা দগ্ধ রোগীদের উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে।
এই দুর্ঘটনার পরপরই ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রী বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করেন এবং যেকোনো প্রয়োজনে ভারতের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন।
সোমবার সন্ধ্যায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ দেওয়া বার্তায় বিমান দুর্ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, “এই দুঃসময়ে ভারত বাংলাদেশের পাশে রয়েছে এবং প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত।” তার এই বক্তব্যের পর থেকেই ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ চলছে।
ঢাকার পক্ষ থেকে জানানো হয়, বেশিরভাগ আহতের শরীর মারাত্মকভাবে পুড়ে গেছে, ফলে দগ্ধ রোগীদের চিকিৎসার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, আধুনিক চিকিৎসা যন্ত্রপাতি ও ওষুধের প্রয়োজন।
বাংলাদেশের এই অনুরোধে সাড়া দিয়ে ভারত দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে এবং চিকিৎসা দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করে।
এই মানবিক সহায়তা দুই দেশের মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছে। তাৎক্ষণিক সহযোগিতার এই পদক্ষেপ ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করতে ভূমিকা রাখবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।