ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাস গড়লেন লিটন কুমার দাস
ফলো অনের শঙ্কায় থাকা রাওয়ালপিন্ডিতে চলমান দ্বিতীয় টেস্টে পাকিস্তানে বিপক্ষে বাংলাদেশ। তৃতীয় দিনের শুরুতেই ৬ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে বাংলাদেশ। তবে লিটন দাস ও মেহেদি হাসান মিরাজের ব্যাটে ফলো অন এড়িয়েছে টাইগাররা। ফিফটির পর সেঞ্চুরির পথে ছিলেন এই দুই ব্যাটার। হঠাৎ আউট হন ভালো ব্যাটিং করতে থাকা মিরাজ। মিরাজ না পারলেও সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন লিটন।
ক্রিকেট ইতিহাসের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে অনন্য নজির গড়লেন লিটন কুমার দাস। তিনিই একমাত্র ব্যাটসম্যান যিনি ৫০ বা তার চেয়েও কম রানে শীর্ষ পাঁচ ব্যাটসম্যান আউট হয়ে যাওয়ার পর ব্যাটিংয়ে নেমে ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসে ৩টি সেঞ্চুরি করেছেন।
দলীয় মাত্র ২৬ রানে ফেরেন জাকির হাসান, সাদমান ইসলাম অনিক, অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত, সাবেক অধিনায়ক মুমিনুল হক সৌরভ, সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম ও সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
লিটন দাসই প্রথম ব্যাটসম্যান যিনি দলীয় স্কোর ৫০ রানের কমে শীর্ষ পাঁচের বাইরে ব্যাট করতে নেমে তিনবার সেঞ্চুরি করেছেন। এর আগে ২০২১ সালের নভেম্বরে চট্টগ্রামে পাকিস্তানের বিপক্ষে করেন ১১৪ রান, তিনি সেই ম্যাচে ৪৯ রানে ৪ উইকেট পতনের পর ব্যাটিংয়ে নামেন।
এরপর ২০২২ সালের মে মাসে মিরপুরে শ্রীলংকার বিপক্ষে ২৪ রানে ৫ উইকেট পতনের পর ব্যাটিংয়ে নেমে লিটন খেলেন টেস্টের ক্যারিয়ার সেরা ১৪১ রানের ইনিংস।
আজ ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ মাত্র ২৬ রানে পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম আউট হওয়ার পর ব্যাটিংয়ে নেমে ১৭১ বলে তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করে নতুন বিশ্বরেকর্ড গড়েন।
মিরাজ ১২৪ বলে ৭৮ রান করে সাজঘরে ফিরলে ভাঙে সপ্তম উইকেটে দুজনের গড়া ১৬৫ রানের সেই জুটি। ততক্ষণে অবশ্য একটি বিশ্ব রেকর্ড গড়ে ফেলেছেন লিটন-মিরাজ। ১৪৭ বছরের টেস্ট ইতিহাসে ৫০ রানের কমে ষষ্ঠ উইকেট পতনের পর সপ্তম উইকেটে সবচেয়ে বড় জুটি এটা। একপ্রান্ত আগলে রেখে ১৭১ বলে সেঞ্চুরি করেন লিটন। এটি তার টেস্ট ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি। যখন লিটন আউট হয়েছেন তখন তার নামের পাশে ১৩৮ রান।
খুররাম শেহজাদের দুর্দান্ত স্পেলে টাইগার ব্যাটিং লাইনআপ রীতিমত দিশেহারা। দিনের শেষ বলে নাইটওয়াচম্যান খুররাম শেহজাদ হলেন বোল্ড। দিনের শুরুতে যিনি বাংলাদেশকে দুঃস্বপ্ন উপহার দিয়েছিলেন, তার উইকেট নিয়েই শেষ করল বাংলাদেশ। আর তাতে রাওয়ালপিন্ডির দ্বিতীয় টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে ২১ রানে পিছিয়ে থাকলেও বাংলাদেশ টাইগার শিবিরে আছে স্বস্তি।
২১ রানের লিড থাকলেও ৯ রানে ২ উইকেট হারিয়ে নিঃসন্দেহে চাপের মুখে থাকবে পাকিস্তান।